ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১৯শত পরিবার এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন!

cnএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১৯ শত দরিদ্র পরিবার এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের একগুয়ামির কারণে পাহাড়ী জনপথ ফাঁসিয়াখালীর দরিদ্র পরিবারের মাঝে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ।

জানা গেছে, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের নির্বাচন গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্ত পূর্বের পরিষদের মেয়াদ আগামী ১২ আগষ্ট সরকারি ভাবে ¯’ানীয় সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চলমান পরিষদের মেয়াদ ৫ বৎসর পূর্ণ হবে। এ সময়ের মধ্যে সকল প্রকার তালিকা প্রণয়নে ওই পরিষদে দায়িত্ব পালন করবে। কিন্ত প্রজ্ঞাপনের বিধি-বিধানের প্রতি কোন রকম তোয়াক্কা না করে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ বর্তমানে নব-নির্বাচিত সাধারণ পুরুষ মেম্বার ও মহিলা মেম্বারদের নিয়ে ২৮ জুন উক্ত ইউনিয়নের জন্য ১১ শত পরিবারের জন্য ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ দিয়েছেন। অথচ প্রতি বৎসর এই ইউনিয়নের জন্য ৩ হাজার পরিবারের জন্য ভিজিএফ এর চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়। ঐ বৈঠকে রহস্যজনক কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারকে ডাকা বা অবহিত করা হয়নি। অথচ জাকের হোসেন মজুমদার বর্তমান পরিষদেরও নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং পূর্বের পরিষদেরও চেয়ারম্যান ।

ভিজিএফ এর চাউল বরাদ্দের বৈঠকে চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারকে কেন ডাকা হয়নি এবং প্রতিবারের ন্যায় ৩ হাজার পরিবারের মাঝে কার্ড বরাদ্দ দেয়া হত সেখানে শুধু ১১ শত পরিবারের মাঝে কেন কার্ড বরাদ্দ দেয়া হল জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ বলেন, এবার বরাদ্দ কম হওয়ায় প্রতিটি ইউনিয়নে অন্যান্য বারের তুলনায় বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ বৈঠকে চেয়ারম্যানের উপ¯ি’ত হওয়া জরুরী নন তাই সব সিদ্ধান্তই কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর ।

অপর দিকে চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বিধি অনুযায়ী আগামী ১২ আগষ্ট পূর্বের পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মেয়াদ শেষ হবে। এ মেয়াদের ভিতরে সকল তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পূর্বের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান মেম্বারদের মতামত থাকতে হবে এবং বন্টনও করতে হবে। কিš‘ আমাকে এবং পূর্বের পরিষদের মেম্বারদের অবিহত না করে শুধু নব-নির্বাচিত মেম্বারদের নিয়ে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ১১শত পরিবারকে। এ কারণে প্রতিবছরের ন্যায় ১৯শত পরিবার এবার ঈদুল ফিতরের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হ”েছ। সচেতন মহলের প্রশ্ন ১৯ শত পরিবার ঈদের আনন্দ থেকে কেন বঞ্চিত হল? এ দায় ভার কে নেবে।

পাঠকের মতামত: